প্রকাশিত: ২৬/০৭/২০২২ ৬:৫০ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী বলেছেনে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন সাবজেক্ট ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক নেই। এক সময় বশর স্যার, মাষ্টার সাইফুল ইসলামসহ একাধিক অভিজ্ঞ শিক্ষক এই স্কুলে ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পরে আর সেই রকম দক্ষ শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনি।

বিদ্যালয় সরকারি হওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের দায়সারা ভাব, পাঠদানের সময়ে ক্লাসে কিছু শিক্ষকের যথাযথভাবে ক্লাস না করার কথাও বলেছেন অভিভাবকরা। এটিও সত্য। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারছি না। করোনাকালে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

অনলাইন ক্লাসের কথা বলে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল হাতে দেয়া হয়েছে। অভিভাবকরা কষ্ট করে হলেও এই মোবাইল কিনে দিয়েছেন। এখন তো আর অনলাইন ক্লাস নেই। এর পরও ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে দামি মোবাইল সেট। শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখায় মারাত্নক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছ্ এই মোবাইল। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মোবাইল নয় বরং বই দিন।

মোবাইল আসক্তি এখন বিষাক্তে পরিণত হয়েছে। আজকের যে ছাত্র বইয়ের প্রতি আসক্ত সেই ছাত্র তত বেশি এগিয়ে। শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি আর শিক্ষক স্বল্পতায় বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান কমেছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

২৬ জুলাই সকাল ১১ টায় উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাবেশে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

শিক্ষিকা মৌসুমি প্রভা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অভিভাবকদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির জুশান ও মাষ্টার হাবিবুর রহমান।

শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহেদুল ইসলাম, তপন কুমার শর্মা, উম্মে আছেমা ফেরদাউস। অভিভাবকেরা তাদের বক্তব্যে মান সম্মত শিক্ষা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবির বুলেটপ্রুফ গাড়িতে টহল

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে মরিয়া হয়ে সক্রিয় থাকা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আর চোরাচালান বন্ধে ...